রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২২ অপরাহ্ন
সরকারি অনুদানের অনিয়মের অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।
ফয়সাল সিকদার চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃঃ-
চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উত্তর জুলধা উনিয়ন পরিষদ ৯নংওয়ার্ড চৌধুরী পাড়া। উত্তর জুলধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯৪ সালে স্থাপন করা হয়।
২০১২ সালে উত্তর জুলধা প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরকারি করণ করা হয়। স্কুলটি গত ১বছর যাবত পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। হয় না পড়া লেখা তালা দেওয়া আছে দরজায়। ওয়াল থাকলেও ছাদের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ। স্কুলের প্রাঙ্গন টি দেখে মনে হয় স্কুল প্রাঙ্গনে নয় এটি একটি জরা তিন্ন।
গ্রামের পরিবেশটা ভালো দেখা গেলেও স্কুলের পরিবেশটা মনে হয় মরুভূমি। নেই কোনো নলকূপ। স্কুল থাকলেও নেই কোন ছাএ ছাত্রী শূন্য হয়ে পড়ে আছে উত্তর জুলধা প্রাইমারি স্কুলটি।
প্রধান শিক্ষিকা সোহেলা পারভীন বিদ্যালয়টি সরকারিকরন করার পূর্বে হতে অর্থাৎ বিগত ২৩ বছর যাবত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে আছেন।
বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনে তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, দাতা,স্থানীয় লোকজনসহ,শীক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিসার,অতিরিক্ত শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে উক্ত বিষয়ে তদন্ত করার জন্য।
উপজেলা উপসহকারী শিক্ষা অফিসার দীজেন ধরকে তদন্ত কমিটির প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এ পর্যন্ত দু'দফায় অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করেন।
উক্ত অভিযোগ বিষয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখতে পায় যে,বিদ্যালয়টির বেহাল দশায় পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে।
আট বছর হলেও সরকারিকরনের বিদ্যালয়টিতে নেই কোন পানীয়জলের নলকূপ, নেই কোন পয়ঃনিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা,মাঠের অবস্থা খেলাধুলার সম্পূর্ণ অনুপযোগী।
আশেপাশে হয়নি কোন প্রকার বৃক্ষরোপণ সরকারি বিভিন্ন দিবস পালন হয়না এখানে এমনকি এবছর স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উৎযাপন, ১৫ ই আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস পালনে কোন ব্যবস্থ্যা পর্যন্ত করেনি।
এ প্রধান শিক্ষিকা সরকার নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য কিছু কিছু অর্থায়ন করলেও হয়নি তার ছিটেফোঁটা কাজ।
তাই অনুন্যাপায় হয়ে পার্শ্ববতর্ী মদ্রাসায় হচ্ছে শিক্ষাদান।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিয়েতো স্থানীয় লোকজন রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।অনিয়ম, দূর্নীতির কারনে শিক্ষার মান আজ তলানিতে বলে মন্তব্য এলাকাবাসীর।
তাই এলাকা বাসী,দাতা,অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে যথাযথভাবে তদন্ত করে বিদ্যালয়টির মান উন্নয়নে ব্যবস্থা নিতে এবং বিদ্যালয়টিতে যেহেতু কোন ভাল মানের শিক্ষক নেই এবং এ পর্যন্ত কোন পুরুষ শিক্ষক নেই, নতুন শিক্ষক নিয়োগসহ একটি শক্তিশালী কমিটি গঠনপূর্বক বিদ্যালয়টির হারানো মান ফিরে আসার আশাবাদ ব্যক্ত করছেন।
এবং অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ করেন।এ রিপোর্ট লিখার আগ অবধি তদন্ত চলমান।
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যত অভিযোগে উত্তর জুলধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শুরু হওয়া তদন্ত কার্যক্রমে উপস্থিত একাধিক সূত্র দৈনিক বর্তমান সময় পত্রিকা কে জানায়, তদন্ত কর্মকর্তা ও স্থানীয় চেয়ারম্যান রফিকুল আহমেদ অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকাকে প্রায় ১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় তিনি অভিযোগের বিপরীতে প্রধান শিক্ষিকাকে প্রয়োজনীয় সব তথ্য প্রমাণ সরবরাহের নির্দেশনা দেন। দৈনিক বর্তমান সময় পত্রিকা সরোজমিনে গিয়ে তদন্তে কিছু কিছু অনিয়ম পেয়েছি। আবার কিছু অভিযোগে তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের আভাস পাওয়া গেছে। আশা করছি সব কাগজপত্র পাওয়ার পর আসল কারণগুলো বেরিয়ে আসবে। প্রতিষ্ঠানে তার দায়িত্ব নেয়ার সময় থেকে সর্বশেষ সব হিসাবের কাগজ জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকা সোহেলা পারভীন অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাংবাদিক দের কাছে নিজের বিরুদ্ধে আরোপিত অভিযোগ ভুয়া, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা।
সরকারি বরাদ্দ ও বিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়ের প্রায় লক্ষ খানিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তোলেন। সেই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বর্তমান সভাপতি কার্যকর কোনও ব্যবস্থা না নিলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য উপজেলা প্রশাসন এবং কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিস উপ-পরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
উপজেলা প্রশাসন তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর তদন্তের প্রতিবেদন পাঠায়।
পরে আঞ্চলিক উপ-পরিচালক অভিযোগটি তদন্ত করতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। এই ব্যাপারে উপ-পরিচালক এর কাছে জানতে চাইলে মুঠোফোনে তিনি বলেন দুই-একদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করবেন। তাদের তদন্ত চলমান রয়েছে।
উত্তর জুলধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সোহেলা পারভীন বিদ্যালয়টি সরকারিকরন করার পূর্বে হতে অর্থাৎ বিগত ২৩ বছর যাবত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে আছেন।
বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির কারনে তার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, দাতা,স্থানীয় লোকজনসহ,শীক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, শিক্ষা অফিসার,অতিরিক্ত শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে উক্ত বিষয়ে তদন্ত করার জন্য। উপজেলা অতিরিক্ত শিক্ষা অফিসার বিজন ধরকে তদন্ত কমিটির প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এ পর্যন্ত দু;দফায় অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করেন।উক্ত অভিযোগ বিষয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখতে পায় যে,বিদ্যালয়টির বেহাল দশায় পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। আট বছর হলেও সরকারিকরনের বিদ্যালয়টিতে নেই কোন পানীয়জলের নলকূপ, নেই কোন পয়ঃনিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা,মাঠের অবস্থা খেলাধুলার সম্পূর্ণ অনুপযোগী।
আশেপাশে হয়নি কোন প্রকার বৃক্ষরোপণ। সরকার নিয়মিতভাবে বিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য কিছু কিছু অর্থায়ন করলেও হয়নি তার ছিটেফোঁটা কাজ।